ষাট গম্বুজ মসজিদ এর ইতিহাস
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
ষাট
গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
এটি বিশ্ববিদ্যালয় রোডের গম্বুজ মসজিদ আবাদের পাশে অবস্থিত। এই
মসজিদটি আসলে ১৫শ শতাব্দীতে
নির্মিত হয়েছিল, যা মুঘল সাম্রাজ্যের
আমলে ঘটে। এটি বাংলাদেশের
প্রথম হারাম প্রকৃতির মসজিদ হিসাবে পরিচিত। এই মসজিদের নাম
'ষাট গম্বুজ' মানে ছয়টি গম্বুজের
মসজিদ। এর বিশেষ নোটগুলি
হলো ছয়টি অলঙ্কৃত গম্বুজ এবং শিক্ষক ও
শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভাল
অবস্থান প্রদান করার জন্য মন্দিরের
একটি প্রস্থান বা আলবাম। মসজিদের
সাথে একটি সাধারণ নকশা
সম্পন্ন রাস্তা দিয়ে যোগ করা হয়েছে
যা দক্ষিণে বিশ্ববিদ্যালয় রোড নামে পরিচিত।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
ষাট
গম্বুজ মসজিদটি বাংলাদেশের খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
এই মসজিদটি ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত
হয়েছিল মুঘল সাম্রাজ্যের আমলে।
মসজিদটি তখন খুলনা অঞ্চলের
শাসনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের প্রতি আদর্শবাদী ও ভক্তিমূলক দক্ষিণে
মুসলিমদের অভিবাসনের স্থান হিসাবে গণ্য ছিল। মসজিদের
নির্মাতা বা নির্মাণের বিষয়ে
স্পষ্ট তথ্য অনুপলব্ধ। তবে,
মুঘল সাম্রাজ্যের আমলে এই ধর্মীয়
স্থাপনাগুলি প্রধানতঃ মুঘল সম্রাট এবং
তার সামনের সন্তানদের কার্যকর প্রতিষ্ঠান ছিল।
ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা কয়টি?
ষাট গম্বুজ মসজিদের নামে মূলত ছয়টি গম্বুজের মসজিদ। এই গম্বুজগুলি মসজিদের ছাদ অংশগুলিকে দেখায়। এই গম্বুজগুলির সংখ্যা মসজিদের নামে উল্লেখিত "ষাট" (বাংলায় ছয়) শব্দটির অর্থ ছয় থেকে আসে। অতএব, এই মসজিদের নাম এবং এর সংখ্যা মূলত এই গম্বুজগুলির সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ৬০ গম্বুজ মসজিদ কত সালে নির্মিত হয়? মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৪৪২ সালে এবং শেষ হয় ১৪৫৯ সালে। এই মসজিদ মুঘল আমলের কার্যকারিতা প্রমাণের হিসাবে পরিচিত। এর নির্মাণের সময় নির্মাতার নাম ও বিস্তৃত তথ্য উল্লেখ নেই, কিন্তু মুঘল সাম্রাজ্যের সাম্প্রতিককালে এই ধর্মীয় স্থাপনাগুলি প্রধানতঃ মুঘল সম্রাট এবং তার সামনের সন্তানদের কার্যকর প্রতিষ্ঠান ছিল।
মসজিদের নাম 'ষাট গম্বুজ' মানে ছয়টি গম্বুজের মসজিদ। এর বিশেষ নোটগুলি হলো ছয়টি অলঙ্কৃত গম্বুজ, যা মসজিদের সুন্দর আকৃতির অংশ হিসাবে পরিচিত। এই গম্বুজগুলি মসজিদের ছাদ অংশগুলিকে দেখায়।
মসজিদটি খুবই বড় এবং উন্নত স্থাপনা ব্যবস্থার সাথে অভিযান্ত্রিক বস্তুসমূহের কাজও দেখা যায়। মসজিদের অংশগুলির মধ্যে নির্মিত কাজে মাটি, পাথর, মোটার, ও সাংকেতিক অলঙ্কার প্রয়োগ করা হয়েছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ একটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা খুলনা জেলার ঐতিহাসিক পর্যটন আকর্ষণের একটি অংশ। এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনার একটি উদাহরণ।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কেন বলা হয়?
"ষাট গম্বুজ" মসজিদের নাম একটি গম্বুজের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে রাখা হয়েছে, যা ছয়টি গম্বুজ বা ডোম আকারের মসজিদ ছিলেন। এই মসজিদের গম্বুজগুলি মসজিদের ছাদের অংশগুলিকে প্রদর্শন করে। আদতেই, এই মসজিদের নামে "ষাট" (বাংলায় ছয়) শব্দটির অর্থ ছয় বা ষাট থেকে আসে। মসজিদের নামের এই ব্যাখ্যা মসজিদের বিশেষ আর্কিটেকচারাল আকৃতির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সাহায্য করে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কততম বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ বাগেরহাটে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO) ষাটগম্বুজ মসজিদকে ৩২১ তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন আমলের সুলতান নসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। খানজাহান বৈঠক করার জন্য একটি দরবার হল গড়ে তোলেন, যা পরে ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত- ষাট গম্বুজ মসজিদ মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয়েছিল। এই মসজিদের গম্বুজগুলি মুঘল সাম্রাজ্যের সাধারণ ধারাবাহিক আর্কিটেকচার এর সাথে মিলিত। গম্বুজগুলি একটি মুঘল চারচিত্রিক আকৃতির প্রতীকবহ। মসজিদের দেওয়ালগুলি, চার দিকে পাতা গোঁজানো, মিনার, অলংকৃত বিশিষ্ট স্থাপত্য ব্যবস্থা, এবং গম্বুজের সাধারণ আকার এই স্থাপত্য শৈলীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই মসজিদের নির্মাণে স্থানীয় পাথর, মাটি, ও শিল্পসামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের সময়ে, এই প্রকারের মসজিদ স্থাপনা খুব জনপ্রিয় ছিল এবং এগুলি ধারাবাহিকভাবে নির্মাণ করা হত।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কত সালে নির্মিত হয় ষাট গম্বুজ মসজিদের নির্মাণের সময়কাল সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সহজ নয়, কারণ এটির প্রায় সকল রেকর্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এটি সাম্রাজ্যিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয়েছিল এবং এর নির্মাণের সময়কাল অনুসারে মুঘল সাম্রাজ্যের ১৫শ শতাব্দী অথবা তার পরের কোনো সময়ে হতে পারে। কিছু পরিস্থিতিতে এটির নির্মাণের সময়কাল সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত হত। তবে, নির্দিষ্টভাবে এর নির্মাণের বছর নির্ধারণ করা মুশকিল।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কে ইউনেস্কো কবে স্বীকৃতি দেয়?
ষাট গম্বুজ মসজিদকে ইউনেস্কো (UNESCO) কবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে প্রায়শই সামর্থ্যবান তথ্য নেই। কিছু সূত্র অনুযায়ী, ষাট গম্বুজ মসজিদকে ইউনেস্কো প্রথমবারের সাধারণ প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকায় যোগ করা হয়েছিল 1983 সালে। তবে, এই তথ্য সঠিক হতে পারে না এবং অন্যান্য উৎসে এই তারিখ সম্পর্কে সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করা যায় না। এছাড়াও, এই ধরনের তথ্য প্রকাশের সময় এবং মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তথ্যাদির মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। আসল তথ্য জানার জন্য, সঠিক তথ্যের জন্য ইউনেস্কোর আধিকারিক ওয়েবসাইট এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
No comments